নারীতে দ্বৈত সত্ত্বা- জনশক্তি ও মাতৃত্ব

14117907_10210467263748639_4191772157658091697_n

সাদিক মৃধা,সংবাদকর্মী,

নারীরা দেশের মোট জনশক্তির অর্ধেক। নারীকে মানুষ ভাবলে এই দেশে একজন নারীও নির্যাতনের শিকার হতে পারে না। ঘরে-বাইরে সবখানে কিছু পুরুষ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু নারীর দ্বারা অন্য নারী নির্যাতিত হয়। একটাই সমাধান- দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো। এ পরিবর্তন কেবল সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে হয় না। এ ক্ষেত্রে মিডিয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিৎ। নারী নির্যাতনের একটি সফল বিচারও যদি মিডিয়াগুলো দৃষ্টান্ত হিসাবে ফলাও করে প্রচার করে তাহলে অপরাধীরা চাপ অনুভব করবে। এতে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে(এই দেশের সমাজ ব্যবস্থার জন্য অধিকতর ফলপ্রসূ)। আর পরিবার তো এ ক্ষেত্রে স্কুলের মতো কাজ করতে পারে। শিশুরা পরিবার থেকে সামাজিক শিক্ষাটুকু পায়। একজন শিশুর সামনে কখনই নারীর সাথে সহিংস আচরণ প্রদর্শন করা যাবে না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জেন্ডার বৈষম্য শিশুদের মনে গেঁথে যায়। সে বড় হতে থাকে আর দেখে আসা বৈষম্যতার কারনে নারীকে সে স্থুল, দুর্বল হিসাবে মূল্যায়ন করতে থাকে। এক সময় এই দৃষ্টিভঙ্গিই সহিংসতায় রুপ নেয়।
এ ক্ষেত্রে আমার নিজস্ব একটি তত্ত্ব আছে–একটি শিশু মায়ের প্রতি যত বেশি সংবেদশীল হবে পরিনত বয়সে ঠিক তত বেশি নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনকরবে।
অর্থাৎ সে বড় হতে থাকবে একজন নারীর প্রতি অকুণ্ঠ সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা নিয়ে।

আজ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। এই দিনে দিনাজপুরের ১০মাইল এলাকায় ইয়াসমিন নামের এক নারী পুলিশের কতিপয় সদস্য কর্তৃক ধর্ষিত হয়। ঘটনার ১ঘন্টা পর ঘটনাস্থলের ৫কিলোমিটার দূরে তার বিবস্ত্র লাশ পাওয়া যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment